ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে SDG 6 (Water SDG) এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে (SDG 13) ভারসাম্যহীন পরিবেশ মোকাবেলার লক্ষ্যে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় হতে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও তথ্য/উপাত্ত প্রদানকারী সংস্থাসমূহের সাথে পরামর্শ করে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সমন্বিতভাবে কর্মপরিকল্পনা তৈরী করে বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ১০ বৎসর মেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ও সপ্তম পঞ্চমবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশব্যাপী বন্যামুক্তকরণ এলাকার কাভারেজ ১০০ ভাগ অর্থাৎ ১১০ লক্ষ হেক্টর পর্যন্ত ও 15.89 লক্ষ হেক্টর সেচযোগ্য এলাকার সেচ সুবিধার আওতা ১০০ ভাগ অর্জনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বন্যা ব্যবস্থাপনা, নদী ভাঙ্গনরোধ জোরদারকরণ, সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন, অববাহিকাভিত্তিক নদী ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বন্যা ঝুঁকি হ্রাস, শস্য নিবিড়তা বৃদ্ধি এবং মরুকরণ রোধে কার্যক্রম গৃহীত হয়েছে। সাম্প্রতিককালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অগ্রাধিকার প্রাপ্ত ড্রেজিং কার্যক্রমের জন্য বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এর তৈরীকৃত ড্রেজিং এর ধারণাপত্র এর ভিত্তিতে অধিক্ষেত্রের নদ নদীর নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য ড্রেজিং/খনন করে সারা বছর নদীতে পানির প্রবাহ ধরে রাখার লক্ষ্যে জোনের অধীনে 4 টি ডিপিপি প্রনয়ন পূর্বক দাখিল করা হয়েছে। বৄহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, প্রতিরক্ষা কাজ, সেচ ও নিস্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নকল্পে আরও ৭টি ডিপিপি বোর্ড ও মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রকল্পসমূহ অনুমোদিত হলে অত্র জোনের অধীনস্থ ৫টি জেলায় নদী ভাঙ্গন রোধ, জলাবদ্ধতা নিরসন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, প্রতিরক্ষা কাজ, সেচ ও নিস্কাশন ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হবে।