Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

অর্জনসমূহ

সাম্প্রতিক অর্জনঃ

চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি জেলার পানি সম্পদের উন্নয়ন ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, দক্ষিণ- পূর্বাঞ্চল, বাপাউবো, চট্টগ্রাম বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নদী ভাঙ্গন রোধ, নদী ড্রেজিং, সেচ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ইত্যাদি কাজ করে আসছে। গত তিন বছরে দক্ষিণ- পূর্বাঞ্চল, বাপাউবো, চট্টগ্রাম কর্তৃক মোট 23.00 কিঃমি (প্রায়) নদী তীর সংরক্ষণ কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। উক্ত ২৩.০০ কিঃমিঃ নদী তীর সংরক্ষণ কাজের মধ্যে সাঙ্গু নদীর উভয় তীরে ১৩.৪০ কিঃমিঃ, চাঁদখালী নদীর ডান তীরে ১.২ কিঃমিঃ, কর্ণফুলী নদীর উভয় তীরে ৪.৪১০ কিঃমিঃ, রাইখালী নদীর বাম তীরে ০.৩১০ কিঃমিঃ, বোয়ালখালী খালের উভয় তীরে ০.৭২৫ কিঃমিঃ এবং কক্সবাজার জেলায় অবশিষ্ট ২.৯১৫ কিঃমিঃ কাজ সম্পাদন করা হয়েছে। সাঙ্গু ও চাঁদখালী নদী তীর সংরক্ষণ কাজ বাস্তবায়নের ফলে চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া উপজেলায় মোট ১৫৯৩.৭৫ কোটি টাকার এবং কর্ণফুলী ও রাইখালী নদী তীর সংরক্ষণ কাজ বাস্তবায়নের ফলে বোয়ালখালী ও রাউজান উপজেলায় ৩৩২.৭৫ কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা পেয়েছে। এছাড়া, বর্ষা মৌসুমে নদী তীর ভাঙ্গনের ফলে সৃষ্ঠ অবর্ননীয় দুর্ভোগ থেকে চন্দনাইশ উপজেলার বড়মা, বৈলতলী, দোহাজারী, দোপাছড়ি ইউনিয়ন; সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া, কালী আইশ, বাজালিয়া, পুরানগড় ইউনিয়ন; বোয়ালখালী উপজেলার বোয়ালখালী পৌরসভা, চরণদ্বীপ, শাকপুরা, চর খিদিরপুর  এবং রাউজান উপজেলার বাগুয়ান, নোয়াপাড়া ইউনিয়নসহ কক্সবাজার জেলার টেকনাফ, কুতুবদিয়া, মহেশখালী উপজেলার জনগণ মুক্তি পেয়েছে। চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার পোল্ডার নং ৬৪/১এ, ৬৪/১বি এবং ৬৪/১সি এর সমন্বয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামোসমূহ পুনর্বাসন প্রকল্প (২য় সংশোধনী প্রক্রিয়াধীন) প্রকল্পের মাধ্যমে ২.০০ কিঃমিঃ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর ফলে প্রায় ১৫৯০১.০০ হেক্টর এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সমুদ্রের লোনা পানি প্রবেশ রোধ সহ ফসলের ক্ষয়ক্ষতি রোধ করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া, চট্টগ্রামে মালিয়ারা-বাকখাইন-ভান্ডারগাঁও বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে ১টি পানি নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো এবং ১৩টি নিষ্কাশন অবকাঠামো/সেচ অবকাঠামো এবং ৫.৩৮০ কিঃমিঃ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ফলশ্রুতিতে, প্রায় ৪৮২৭.০০ হেক্টর এলাকায় সেচ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে ফসলের নিবিড়তা ১৬৪.৫৪% থেকে ২১৯.৩৯% এ উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে কৃষিজ উৎপাদন সহ প্রায় ৩৫৩.৪০ কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা পেয়েছে। কক্সবাজার জেলার ক্ষতিগ্রস্থ পোল্ডার সমূহের পুনর্বাসন প্রকল্প (১ম সংশোধিত) এর মাধ্যমে প্রায় ২৫ কিঃমিঃ বাঁধ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, যার ফলে প্রকল্প এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণসহ সমুদ্রের লোনা পানি প্রবেশ বন্ধ হয়েছে। তাছাড়া শাহপরীর দ্বীপে ৬০০ মিটার বাঁধ পুননির্মাণ এবং ৩৫০ মিটার নদী তীর সংরক্ষণ কাজ বাস্তবায়িত হওয়ায় এলাকার জানমাল রক্ষা পেয়েছে। বাঁকখালী নদীতে ১১.১৫০ কিঃমিঃ ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন হওয়ায় নাব্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখিত কাজসমূহ বাস্তবায়নের ফলে বাপাউবো, দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল এর আওতায় প্রায় ৪১০০.০০ হেক্টর জমি জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেয়ে কৃষি আবাদের আওতায় এসেছে। আরো উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ এর আওতাভূক্ত ৬৪ জেলায় ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনখনন প্রকল্পের আওতায় ১৮-১৯ অর্থ বছরে ৩১.৮৮৫ কিঃমিঃ খাল খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে যা সংলগ্ন এলাকা সমূহের পানি নিষ্কাশন ও সেচ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।